ক‍্যানেলের বাঁধ ভেঙে বিপত্তি , জলমগ্ন এলাকা : শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতির কাজ

28th October 2020 1:07 pm বাঁকুড়া
ক‍্যানেলের বাঁধ ভেঙে বিপত্তি , জলমগ্ন এলাকা : শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতির কাজ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  সাত সকালে ক্যানেল ভেঙ্গে বিপত্তি। জল থৈ থৈ অবস্থা এলাকা জুড়ে। নিরাশ্রয় একটা বড় অংশের মানুষ। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের উত্তরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের জরকা গ্রামের ঘটনা।স্থানীয় সূত্রে খবর, জরকা  গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া কংসাবতী সেচ খাল (ক্যানেল) মঙ্গলবার ভোরে ভেঙ্গে পড়ে। ঘুম থেকে উঠেই হতচকিত গ্রামের মানুষ। হু হু করে জল ঢুকতে থাকে বাড়িতে। এই অবস্থায় যে যেরকম পেরেছেন বাড়ির জিনিস পত্র নিয়ে উঁচু জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও পরে স্থানীয় ক্লাবের তরফে দূর্গতদের একটি স্কুলে নিয়ে গিয়ে আপাতত থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রচুর পরিমানে জমির পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে জমানো টাকা, পয়সা, খাবার, অন্যান্য জিনিস পত্র সহ হাঁস, মুরগী, গোরু-বাছুর জলের তোড়ে ভেসে গেছে বলে গ্রামবাসীদের সূত্রে দাবি করা হয়েছে।    বুধবার জরকা গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার উপর বইছে জল, ঘরের মধ্যেও জল ঢুকে পড়েছে। বিঘার পর বিঘা ধানের জমি জলের তলায়। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। আকস্মিক এই ঘটনায় গ্রামের সকলের আতঙ্ক চোখে মুখে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী সঞ্জয় মহাদণ্ড, কাঞ্চন মহাজন ময়না মিদ্যারা বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখছি বাড়ির সামনে জল বইছে। পুরো বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই সেই জল ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ঘরে মজুত থাকা খাদ্য দ্রব্য, উৎসবের জন্য জমানো টাকা কোন কিছুই প্রায় বের করা যায়নি। সব কিছুই জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে। এই ঘটনায় তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত। এই অবস্থায় সরকারী সাহায্য ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব বলে তারা জানান।   ঘটনার খবর পেয়েই গ্রামে যান জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইয়ামিন শেখ। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। প্রত্যেকেই সরকারীভাবে সাহায্য পাবেন। এই মহূর্তে কোন অসুবিধে নেই। প্রত্যেকের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।